০১ মে ২০১২, বুধবার, ০৩:৫৮:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে এবার বন্দুকধারীর গুলিতে তিন আইনশৃংলাবাহিনীর সদস্য নিহত ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ


মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
`বঙ্গবাজারের অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণ না পারা ‘সরকারের দায়িত্বহীনতা'
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৪-২০২৩
`বঙ্গবাজারের অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণ না পারা ‘সরকারের দায়িত্বহীনতা'


বঙ্গবাজারের অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণ না পারা ‘সরকারের দায়িত্বহীনতা বর্হিপ্রকাশ’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার বিকালে ইফতারপূর্ব অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘‘ আজকে ইফতারের এই সময়ে আমাদের মন কিন্তু ভালো নেই। গতকাল বঙ্গবাজারে যে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড হয়েছে ৃ এতে হাজার হাজার মানুষ যে নিঃস্ব হয়ে গেছে তাদের আহজারি, তাদের কান্না এখন সারাদেশের মানুষকে ভারাক্রান্ত করেছে।  আমরা বরাবরই বলে এসেছি যে, এই সরকার একটা দায়িত্বজ্ঞানহীন সরকার। তার কোথাও কোনো  জায়গাতেই তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। আগুন নেভানোর জন্যৃ আগুন লাগতেই পারে, দূঘটনা ঘটতেই পারে যে অতিদ্রুত যাতে কোনো দূর্ঘটনা না ঘটে সেই সিদ্দিকবাজারে আপনারা দেেেখ্ছন প্রায় ২২/২৩ জন মানুষ সেখানে মারা গেছে। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর যে বঙ্গবাজারে মারা যায়নি কেউ।কিন্তু তারা আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়ে গেছে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আগুন কেনো লাগছে? তাকে বন্ধ করার জন্যে, আগুন যেন না লাগে তার ব্যবস্থা করার জন্যে সরকারের সুনির্দিষ্ট বিভাগ রয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা রয়েছেন.. সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তারা রয়েছেন। তারা কিন্তু এখন পর্যন্ত একটা রিপোর্ট সেখানে(বঙ্গবাজার মার্কেটে) বের করতে পারেননি। অগ্নিকান্ড বা দুর্ঘটনা বন্ধ করার কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেননি। শুধু আগুন নয়, সব রাস্তাৃ এটা কি চিন্তা করতে পারেন- একটা মৃত্যুকূপ। প্রতিদিন দেখবেন সড়ক পথে লোক মারা যাচ্ছে শত শত সারাদেশে।”

মঙ্গলবার বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় টিন ও কাঠের নির্মিত মার্কেটের দুই স্রহাস্রাধিক দোকান ভূস্মিভূত হয়ে যায়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন বঙ্গবাজারের মূল মার্কেটে রয়েছে চারটি ইউনিট, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, গুলিস্তান ইউনিট, মহানগর ইউনিট ও আদর্শ ইউনিট। বঙ্গবাজারের উত্তর পশ্চিম কোণে সাততলা এনেক্সকো টাওয়ার, তার পূর্ব পাশে মহানগর কমপ্লেক্স মার্কেটও পুড়েছে। আগুন বঙ্গবাজারের পশ্চিম পাশের সড়কের অপর প্রান্তের দুটি মার্কেটেও ছড়ায়। এই কয়েকটি মার্কেট মিলিয়ে ৫ হাজারের মতো দোকান রয়েছে ; তারও অধিকাংশ পুড়েছে।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘‘  এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সব রকমের নীতি নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে, সংবিধানকে পুরোপুরিভাবে বিসর্জন দিয়ে, মানুষের অধিকারকে পুরোপুরি লঙ্ঘন করে বেআইন কাজগুলো নিদ্বিধায় করে যাচ্ছে। আপনারা দেখেছেন, গতকাল কুমিল্লায় আমাদের একটা সমাবেশ ছিলো ইফতারের সেই ইফতারে অতর্কিতে তারা হামলা করে এবং সেখান থেকে প্রায় ২০/২৫ জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আজকে ময়মনসিংহে সকালের দিকে সেই জেলার কমিটির একটা মিটিং ছিলো সেই মিটিংয়ের মধ্যে অতর্কিতে পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করে আমাদের নেতাদের জখম করেছে। কয়েকদিন আগে নাটোরে একইভাবে তারা হামলা করেছে সেখানে কয়েকজনকে আহত করেছে, খুলনাসহ সারা দেশে আক্রমন করেছে, আহত করেছে। অথচ তারা কথা বলে যে, এখানে গণতন্ত্র এমনভাবে দিয়েছে যে, এরচেয়ে বড় গণতন্ত্র আর কোথাও নেই্।”


‘আর প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধ গড়তে হবে’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আমি একটা কথা শুধু বলতে চাই সেটা হচ্ছে এখন আর কথা বলে কোনো কাজ হবে না। এখন আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে, আমাদেরকে প্রতিবাদে সোচ্চার না, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এই যে, কথাটা কিছুক্ষন আগে মান্না(মাহমুদুর রহমান মান্না) সাহেব বলেছেন যে, এদেরকে আর যত সময় দেবেন তারা আরো ক্ষতি করবে দেশের, মানুষের জাতির। কারণ এরা এই জাতির সবচেয়ে বড় ক্ষতি করছে যে, আমাদের গণতন্ত্রের সমস্ত আকাংখাগুলো ধবংস করে দিয়েছে, মানুষের নিরাপত্তাকে ধবংস করেছে, সংবিধানকে ধবংস করেছে। আসুন এই ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে এই পবিত্র সময়ে আমরা সকলে আল্লাহতালার কাছে এই প্রার্থনা করি যে, তিনি যেন আমাদেরকে সেই শক্তি দেন, সেই তৌফিক দেন আমরা জনগনকে সংগঠিত করে, দেশের সকল মানুষকে সংগঠিত করে ঠিক একাত্তর সালে যেভাবে একটা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম, আজকে আবার দেশকে মুক্ত করবার জন্য, গণতন্ত্রকে মুক্ত করবার জন্য, আমাদের গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবার জন্য, আমাদের নেতা তারেক রহমানসহ সেসব নেতারা আছে তাদের বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা মামলা আছে সেইসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবার জন্য আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দূর্বার গণ্আন্দোলন গড়ে তুলি এবং এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে চলে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করি।’’

বিকালে মালিবাগে স্কাই সিটি হোটেলে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিলপূর্ব আলোচনা সভা হয়।

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার সঞ্চালনায় এই আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বক্তব্য রাখেন।

ইফতারে বিএনপির নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, আবদুল্লাহ আল নোমান, শ্যামা ওবায়েদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার তাসমিয়া প্রধান, এনডিপির আবু তাহের, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, জাতীয় পার্টি(কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকনসহ ১২ দলীয় জোট ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।



শেয়ার করুন